সৌদি আরব, সৌদি আরবের কিংডমের পুরো নাম, ২২.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার জুড়ে। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত আরব উপদ্বীপটি পূর্বদিকে পারস্য উপসাগর এবং পশ্চিমে লোহিত সাগর এবং জর্ডান, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং ইয়েমেনের মতো সীমান্তবর্তী দেশগুলির সীমানা ঘটিয়েছে। "সৌদি আরব" শব্দের অর্থ আরবীতে "সুখের প্রান্তর"। ভূখণ্ড পশ্চিমে উচ্চ এবং পূর্বে নিম্ন। পশ্চিমে হিজাজ-আসির মালভূমি এবং দক্ষিণে হিজাজ পর্বতমালা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 3000 মিটার উপরে are কেন্দ্রীয় অংশটি নাজদ মালভূমি। পূর্বটি সমভূমি is লোহিত সাগরের পাশের অঞ্চলটি প্রায় 70 কিলোমিটার প্রশস্ত লোহিত সাগরের নিম্নভূমি। মরুভূমি দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল জুড়ে। বহুবর্ষজীবী জল সহ নদী এবং হ্রদ। পশ্চিমাঞ্চলের মালভূমিতে একটি ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু রয়েছে; অন্যান্য বিস্তীর্ণ অঞ্চলগুলি উষ্ণমন্ডলীয় মরুভূমি, গরম এবং শুষ্ক রয়েছে।

দেশটি ১৩ টি অঞ্চলে বিভক্ত: রিয়াদ অঞ্চল, মক্কা অঞ্চল, মদিনা অঞ্চল, পূর্ব অঞ্চল, কাসিম অঞ্চল, হ'ল অঞ্চল, আসির অঞ্চল, বাহা অঞ্চল, তবু ক্রোয়েশিয়া, উত্তর সীমান্ত, জিজান, নাজরান, ঝুফু। অঞ্চলটিতে প্রথম স্তরের কাউন্টি এবং দ্বিতীয় স্তরের কাউন্টি রয়েছে এবং কাউন্টির অধীনে প্রথম স্তরের জনপদ এবং দ্বিতীয় স্তরের জনপদ রয়েছে।

সৌদি আরব ইসলামের জন্মস্থান। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে, ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদের উত্তরসূরী আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ।১৮ তম শতাব্দীটি এর উত্তরাধিকারসূত্রে ছিল এবং এর অঞ্চলটি ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে আরব সাম্রাজ্য অটোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। খ্রিস্টীয় উনিশ শতকে ব্রিটিশরা আক্রমণ করে এই জমিটিকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিল: হানজি ও অভ্যন্তরীণ ইতিহাস। ১৯২৪ সালে নেজান প্রধান আবদুল আজিজ-সৌদি আরব হানজিকে সংযুক্ত করে এবং পরে আস্তে আস্তে আরব উপদ্বীপকে একত্রিত করে এবং ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব কিংডম প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।

জাতীয় পতাকা: এটি আয়তক্ষেত্রাকার দৈর্ঘ্যের অনুপাত সহ 3: 2 প্রস্থে। সবুজ পতাকার জমিনে সাদা আরবীতে একটি বিখ্যাত ইসলামী উক্তি লেখা আছে: "সমস্ত কিছু প্রভু নয়, আল্লাহ, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল।" তরোয়ালটি নীচে আঁকা হয়েছে, পবিত্র যুদ্ধ এবং আত্মরক্ষার প্রতীক। সবুজ শান্তির প্রতীক এবং ইসলামী দেশগুলির দ্বারা অনুকূল একটি শুভ রঙ। জাতীয় পতাকার রঙ এবং নিদর্শনগুলি দেশের ধর্মীয় বিশ্বাসকে তুলে ধরে এবং সৌদি আরব হ'ল ইসলামের জন্মস্থান।

সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যা ২৪..6 মিলিয়ন (২০০৫), যার মধ্যে বিদেশী জনসংখ্যা প্রায় ৩০%, যার বেশিরভাগই আরব। সরকারী ভাষা আরবি, সাধারণ ইংরেজি, ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম, সুন্নি প্রায় 85%, শিয়া প্রায় 15%।

সৌদি আরব একটি নিখরচায় অর্থনৈতিক নীতি প্রয়োগ করে। সৌদি আরব বিশ্বের তেলের মজুদ এবং আউটপুট র‌্যাঙ্কিং সহ "তেল রাজ্য" হিসাবে পরিচিত, এবং এর তেল এবং পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পগুলি এর অর্থনীতির প্রাণবন্ত। সৌদি আরবের প্রমাণিত তেলের মজুদ ২ 26১.২ বিলিয়ন ব্যারেল যা বিশ্বের তেল মজুতের ২ 26%। সৌদি আরব বছরে ৪০০ মিলিয়ন থেকে ৫০০ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল তৈরি করে .০ টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য রফতানি করা হয়।পেট্রোলিয়ামের রাজস্ব জাতীয় অর্থবছরের 70০% এরও বেশি এবং তেল রফতানি মোট রফতানির 90০% এরও বেশি for সৌদি আরব প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ, natural.7575 ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার প্রমাণিত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ যা বিশ্বের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। বর্তমান তেল উত্পাদন অনুমান অনুযায়ী, সৌদি তেল এখনও প্রায় 80 বছর ধরে শোষণ করা যেতে পারে ited এছাড়াও, সোনার, তামা, আয়রন, টিন, অ্যালুমিনিয়াম এবং দস্তার খনিজ জমা রয়েছে যা এটিকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্বর্ণের বাজার হিসাবে গড়ে তুলেছে। প্রধান জলবাহী সম্পদ হ'ল ভূগর্ভস্থ জল। ভূগর্ভস্থ পানির মোট রিজার্ভ ৩ 36 ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার। বর্তমানের পানির ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে, ভূপৃষ্ঠের 20 মিটার নীচে জলের উত্সটি প্রায় 320 বছর ধরে ব্যবহার করা যেতে পারে। সৌদি আরব পৃথিবীর বৃহত্তম পানিবহর সমুদ্র জলের উত্পাদনকারী। দেশটিতে সমুদ্রের নির্গমনের মোট পরিমাণ বিশ্বের সমুদ্র জল নির্মূলে প্রায় 21% অবদান রাখে। 640 মিলিয়ন ঘনমিটার জলের স্টোরেজ ক্ষমতা সহ 184 টি জলাধার রয়েছে। সৌদি আরব কৃষিতে বিশেষ নজর দেয়। দেশে ৩২ মিলিয়ন হেক্টর আবাদযোগ্য জমি এবং ৩.6 মিলিয়ন হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে সৌদি আরবের সর্বাধিক স্থূল গার্হস্থ্য পণ্য রয়েছে যা উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে একটি উচ্চ স্তরের। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, সৌদি আরব খনন, হালকা শিল্প এবং কৃষির মতো তেলবিহীন শিল্পের বিকাশের প্রচেষ্টা করে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের নীতিটি প্রবলভাবে অনুসরণ করেছে এবং তেলের উপর নির্ভরশীল একক অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তিত হয়েছে। 2004 সালে, সৌদি আরবের মাথাপিছু জিডিপি ছিল 11,800 মার্কিন ডলার। সৌদি আরব প্রধানত ভোক্তা পণ্য এবং রাসায়নিক পণ্য যেমন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, খাদ্য, টেক্সটাইল ইত্যাদি আমদানি করে সৌদি আরব একটি উচ্চ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। বিনামূল্যে চিকিত্সা যত্ন প্রয়োগ করুন।

রিয়াদ: রিয়াদ শহর (রিয়াদ) সৌদি আরবের রাজ্যের রাজধানী, রয়েল প্যালেসের আসন এবং রিয়াদ প্রদেশের রাজধানী। নগরীর আয়তন ১, square০০ বর্গকিলোমিটার। আরব উপদ্বীপের মাঝখানে নেজি মালভূমিতে হানিফা, আইসান এবং বাক্সাহানজাইয়ের তিনটি শুকনো উপত্যকায় অবস্থিত, এটি পারস্য উপসাগর থেকে প্রায় 386 কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 520 মিটার উঁচুতে এবং কাছাকাছি একটি মরূদ্যান রয়েছে। জলবায়ু শুষ্ক এবং উষ্ণ। জুলাই মাসে গড় তাপমাত্রা হয় 33 ℃ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 45 ℃; জানুয়ারীতে গড় তাপমাত্রা হয় 14 ℃ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 100 ℃ হয়, বার্ষিক গড় তাপমাত্রা 25 ℃ হয় ℃ বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 81.3 মিমি। কাছাকাছিটি বিশাল খেজুর গাছ এবং পরিষ্কার ঝর্ণা সহ একটি মরুদ্যান, যা রিয়াদকে এর নাম দিয়েছে (রিয়াদ আরবীতে "বাগান" এর বহুবচন)।

আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে রিয়াদকে ঘিরে একটি শহরের প্রাচীর নির্মিত হওয়ার পরে রিয়াদ নামটি ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। 1824 সালে, এটি সৌদি রাজপরিবারের রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল। 1891 সালে রশিদ উপজাতির অন্তর্গত। ১৯০২ সালে, সৌদি আরবের কিংডমের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ তার সৈন্যদের রিয়াদকে পুনরায় দখল করতে নেতৃত্ব দেন।যখন 1932 সালে এই রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীতে পরিণত হয়। ক্লায়িডে আক্রমণ করার সময়, সর্বশেষ দখল করা মাসমাক ক্যাসল তখনও দাঁড়িয়ে ছিল। 1930 এর দশক থেকে, প্রচুর পরিমাণে তেল আয় এবং পরিবহণের ক্রমবর্ধমান বিকাশের কারণে রিয়াদ দ্রুত একটি আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। উপসাগরীয় বন্দর দাম্মমের পূর্বদিকে একটি রেলপথ রয়েছে এবং উত্তর শহরতলিতে একটি বিমানবন্দর রয়েছে।

রিয়াদ সৌদি আরবের জাতীয় বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং পরিবহন কেন্দ্র। পেট্রোলিয়াম সংস্থানগুলির দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে এটি একটি আধুনিক উদীয়মান শহর তৈরি করেছে। ওসিস কৃষি অঞ্চল খেজুর, গম এবং শাকসব্জী উত্পাদন করে। শিল্পগুলির মধ্যে রয়েছে তেল পরিশোধন, পেট্রোকেমিক্যালস, সিমেন্ট, টেক্সটাইল ইত্যাদি include এটি লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগরের মধ্যে একটি ট্রানজিট পয়েন্ট এবং কৃষি এবং পশুপালন পণ্যগুলির জন্য বিতরণ কেন্দ্র। ইরান, ইরাক এবং অন্যান্য জায়গাগুলিতে মুসলমানদের মক্কা ও মদিনায় হজের জন্য যেতে ভূমি পরিবহন স্টেশন। এখানে উপকূলের দিকে যাওয়ার জন্য আধুনিক রেলপথ এবং মহাসড়ক রয়েছে এবং এখানে এয়ার লাইন এবং দেশী এবং বিদেশী সংযোগকারী মহাসড়ক রয়েছে।

মক্কা: মক্কা ইসলামের প্রথম পবিত্র স্থান। এটি পশ্চিম সৌদি আরবের সেরাত পর্বতমালার সরু উপত্যকায় অবস্থিত, প্রায় 30 বর্গকিলোমিটার এবং প্রায় 400,000 জনসংখ্যার এলাকা জুড়ে। এটি চারপাশে পর্বতগুলি দ্বারা বেষ্টিত, আনডুলেটিং পাহাড় এবং দুর্দান্ত দৃশ্যাবলী। মক্কা, যার অর্থ আরবিতে "স্তন্যপান", স্বল্প অঞ্চল, উচ্চ তাপমাত্রা এবং পানীয় জলের ক্ষেত্রে অসুবিধার বৈশিষ্ট্যগুলি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।

মক্কা এত বিখ্যাত হওয়ার কারণ হ'ল ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মুহাম্মদ মক্কায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও প্রচার করেছিলেন। বিরোধিতা ও নিপীড়নের কারণে তিনি 6২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় চলে আসেন।মদিনায় তিনি মক্কার দিকে ইবাদতের দিক ঘুরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।তখন থেকে সারা বিশ্বের মুসলমানরা মক্কায় ফিরে গেছে। উপাসনা। 6৩০ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ তার সৈন্যবাহিনীকে মক্কা দখল করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কাবা মন্দির রক্ষার অধিকারকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন এবং বহুশাসন ত্যাগ করেন এবং মন্দিরটিকে ইসলামী মসজিদে পরিণত করেছিলেন। মক্কার কেন্দ্রে অবস্থিত গ্রেট মসজিদ (এটি নিষিদ্ধ মসজিদ নামেও পরিচিত) এটি মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান It এটি ১ 160০,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে এবং একই সাথে Muslims০০,০০০ মুসলমানের থাকার ব্যবস্থা করতে পারে।

"হজ" একটি অন্যতম মূল সিস্টেম যা মেনে চলা উচিত ইসলামের অনুসারীদের। এটি কেবল prophetতিহাসিক traditionsতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা, "নবী" এর স্মরণে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, একধরনের বেল্টও রয়েছে একটি বার্ষিক বৈঠক রয়েছে যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বের প্রচার করে। এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিবহনের ক্রমবর্ধমান বিকাশের সাথে সাথে মক্কায় তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্যে মুসলমানদের সংখ্যা বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।বছর ধরে, skin০ টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন ত্বকের বর্ণ এবং বিভিন্ন ভাষার মুসলমানরা মক্কায় আগমন করেছেন, মজাকে হজ্বকালীন সময়ে উদ্ভট করে তুলেছে। , একটি কালিডোস্কোপ বিশ্ব। 1932 সালে সৌদি আরব কিংডম প্রতিষ্ঠার পরে মক্কা "ধর্মীয় রাজধানী" হিসাবে পরিচিত ছিল এবং এটি এখন মুহাম্মদের বংশধর দ্বারা পরিচালিত হয়। পুরান মক্কা শহরটিকে নদীর উপত্যকায় "ইব্রাহিম ডিপ্রেশন" বলা হয়। এখানে মধ্যযুগীয় বৈশিষ্ট্যযুক্ত ধর্মীয় ভবন এবং প্রাসাদগুলির সমাবেশ রয়েছে The সরু রাস্তাগুলি পুরানো দোকানগুলিতে আবদ্ধ রয়েছে। বাসিন্দাদের পোশাক, ভাষা এবং রীতিনীতি এখনও মুহাম্মদ যুগের কিছু স্টাইল ধরে রেখেছে।